আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নির্বাচনে নাশকতার আশঙ্কা নেই: পুলিশ সুপার

নির্বাচনে নাশকতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পোহালেই ভোট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব ধরণের পরিস্থিতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ।

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘আগামীকাল (রবিবার) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আনসারদেরকে ৫টি ভাগে ব্রিফ করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আনসারের সমন্বয় করা। তারা নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্র নিয়ে যাবে এবং আগামীকাল থেকে ভোট গ্রহন শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু নারায়নগঞ্জে কোন শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটে নাই তাই এই আমরা আশা করি আগামীকালও জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। নারায়নগঞ্জে সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পেয়েছে। নারায়নগঞ্জে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা যেভাবে কাজ করছি আমার মনে হয় না যে, এখানে কোন ধরণের নাশকতা হবে। তবে সকল ধরণের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। নারায়নগঞ্জে প্রতিটি প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচারণা করতে পেরেছে।’

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ব্রিফ করেছি আগামীকাল যাতে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে। সে জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করবো। নির্বাচনে প্রায় ২ হাজার পুলিশ কাজ করবে। আজ (শনিবার) রাত থেকে অনেক পুলিশ সদস্য বের হবে। প্রতিটি থানায় ১জন এডিশনাল এসপি তত্ত্বাবধায়নে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে আমরা কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। বিশেষ কেন্দ্র বা ইউনিয়নগুলো যেমন বক্তাবলি সেখানে বিশেষ নজর থাকবে। আমরা নারায়ণগঞ্জে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ আছে এবং থাকবে। যে কোন ধরণের ঝামেলা যেন না হয় সে দিকটা আমরা নিশ্চিত করবো।’

প্রসঙ্গত, রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের ৭৪৫টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৫জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোটগ্রহন চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটের দিন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ সদস্যসহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন। এছাড়া ২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ